মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ

নিউজিল্যান্ডের দুই দল গবেষক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সংবেদনশীল রেডিও-টেলিস্কোপ তৈরি করতে যাচ্ছেন। আর এটির নাম দেয়া হয়েছে The Square Kilometre Array | নিউজিল্যান্ডের সায়েন্স এন্ড ইনোভেশন মন্ত্রী স্টিভেন জয়েস বলেন, Auckland University of Technology I Wellington’s Victoria Universityi গবেষকরা যৌথভাবে কেন্দ্রীয় সংকেত নিয়ন্ত্রক ( central signal processor)  ও বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশ্লেষণার জন্য নিউজিল্যান্ডের অন্য গবেষকদের নিয়ে কাজ করবেন। গত তিন বছর ধরে শুধু এটির নকশা তৈরি করা হয়েছে।
The Square Kilometre Array  সবচেয়ে বড় ও উন্নত রেডিও-টেলিস্কোপ তৈরির একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে জ্যোতির্বিদরা মহাশূন্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বর্তমানে প্রচলিত যে কোন প্রযুক্তির চেয়ে হাজার গুণ বেশি দ্রুত গতিতে লাভ করতে সক্ষম হবেন। নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের ১৮টি দেশের ৩৫০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী এবং ১০০ টি প্রতিষ্ঠান এই বিশাল টেলিস্কোপ নির্মাণের কাজের সাথে জড়িত আছে। এই টেলিস্কোপটি ২০২০ সাল থেকে কাজ শুরু করবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর ১০টি দেশের বিজ্ঞানীরা এই কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন-নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জার্মানি, ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ড, ব্রিটেন ও ভারত। এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ২.১৭ মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলার।
The Square Kilometre Arrayএর মূল অবস্থান হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। এতে থাকবে হাজার হাজার ডিশ, মিলিয়ন সংখ্যক দ্বি-পোল রেডিও রিসেপ্টর। আর এর তথ্য সংগ্রহের স্থান হবে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকাব্যপী, যেটি এটিকে বর্তমানের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপের চেয়েও ১০০ গুন বেশ সংবেদনশীল করবে। আর এর ছবির রেজোলিউশন হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চেয়েও ৫০ গুণ বেশি হবে।
অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এন্ড্রু এনসর এই পুরো প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে যে পরিমাণ তথ্য ও গণনা করা যাবে, তা বর্তমানের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারের চেয়েও ১০ গুণ বেশি।

ভুসি দিয়ে পরিবেশবান্ধব ইট!

ইট তো সাধারণ মাটি দিয়েই তৈরি হয়। এর পরিবেশবান্ধব রূপটা আবার কেমন হতে পারে? আর এর প্রয়োজনটাই বা কী? প্রয়োজন তো আছেই। বিভিন্ন রকম পরিবেশে আরামদায়ক ঘর তৈরি থেকে শুরু করে কলকারখানায় নানা কাজে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের তাপরোধক ইট। আর এতে ব্যবহার করা পলিস্টাইরিন (একজাতীয় প্লাস্টিক)। পলিস্টাইরিন মেশানো ইট তৈরি করতে গিয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে বলে তাপরোধক অথচ পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর সেটা এবার খুব সহজে কম খরচে করে দেখিয়েছেন পর্তুগালের এক ব্যক্তি।পর্তুগালের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অব টোমারের গবেষক এডুয়ার্ডো ফেরাজ তৈরি করেছেন এমন ইট। এতে তিনি পলিস্টাইরিনের পরিবর্তে ব্যবহার করেছেন শস্য গাঁজিয়ে বিয়ার তৈরির পর থেকে যাওয়া উচ্ছিষ্ট বা ভুসি। প্রতি ইটে মাত্র ৫ শতাংশ ভুসি ব্যবহার করে এ ইট তৈরি করা হয়। সাধারণ ইটের মতোই মজবুত নতুন এ ইটগুলো। প্রায় ২৮ শতাংশ তাপের অপচয় রোধে সক্ষম ভুসি মেশানো এ ইট। তাপরোধক ইট প্রস্তুতকারক কম্পানিগুলোর জন্য এটি সাশ্রয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা। কারণ বিভিন্ন কারখানায় শস্য গাঁজানোর পর যথেষ্ট পরিমাণেই ভুসি তৈরি হয়, যা দিয়ে তাপরোধক ও পরিবেশবান্ধব এ ইট উৎপাদনের প্রয়োজন সহজেই মেটানো সম্ভব। সূত্র : ইউপিআইডটকম।